এম.জুবাইদ ,পেকুয়া :

পেকুয়া উপজেলায় মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় পেকুয়ার বর্তমান আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে অসন্তোষ্ট জানিয়েছেন আইন শৃংখলা কমিটির সদস্যরা।  ১০ জুলাই সকাল ১০ টায় উপজেলা হলরুমে উপজেলার মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবউল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রনি, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আ’লীগের সদস্য উম্মে কুলছুম মিনু, এস এম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু, উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ— সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এস এম মাহাবুব ছিদ্দিকী, উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌং, টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌং, বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাও.বদিউল আলম জিহাদী, শহীদ জিয়া বি এম আই অধ্যক্ষ এ এম ফরিদুল ইসলাম চৌং, পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জহির উদ্দিন, পেকুয়া থানার এস আই কামরুল ইসলাম, মগনামা ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল আবচারসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বন্ কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় বক্তারা প্রথমে পেকুয়া থানা পুলিশের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন পেকুয়ার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হচ্ছে। বর্তমানে পেকুয়ায় ইয়াবা ও মদের ছড়াছড়ি হয়ে গেছে। এমনকি মগনামার জেটিঘাট এখন ইয়াবার ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। পেকুয়া থানার দায়িত্বরত পুলিশ এখনো বহু আলোচিত হত্যার মূল রহস্য খোজে বের করতে পারছে না। মগনামার কালার পাড়া ও সাত ঘর পাড়া অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আনাগোনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। সম্প্রতি এসব অবৈধ অস্ত্রধারীরা বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এসব কিছুর ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ওয়াসিম। সে একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। সে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মগনামায় ইয়াবার ট্রানজিট গড়ে তুলে। যুব সমাজকে ধবংসের হাত রক্ষার জন্য অবিলম্বে পেকুয়া থেকে ইয়াবা দুর করতে হবে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য পেকুয়ার পুলিশকে দায়ী করেন। মগনামায় প্রতিদিন অবৈধ অস্ত্রেও ঝনঝনানি চলছে এসব অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পেকুয়া থানা পুলিশের প্রতি জোর দাবী জানায়। ইতি পূর্বে পেকুয়ার টইটং এ এক সপ্তাহে ২০টির অধিক ঘর চুরি হয়েছে এসব কিছু জানে না পুলিশ। পেকুয়ায় চুরি, ছিনতাই, মদ, ইয়াবার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি পেকুয়া চৌমুহনীতে বেশ কিছু দালাল চক্র চায়ের দোকানে কিংবা বা বিভিন্ন দোকানে বসে বসে মানুষের সাথে প্রতারণা শুরু করেছে। সরকার দলীয় পরিচয় দিয়ে বিচারের নামে মানুষকে হয়রানি শুরু করেছে কারা তা তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান পুলিশের প্রতি। পেকুয়ার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পেকুয়া থানা পুলিশ ব্যর্থ। তারা আরো বলেন পেকুয়ায় কমিনিউটি পুলিশের একটি সভা ও করা হয়নি। পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙ্গা, ধারিয়াখালী পাউবোর মালিকানাধীন চর দখলের মহাউৎসবে মেতে উঠেছে। তা দখল উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান। পেকুয়ার বারবাকিয়া টইটং শীলখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন এবং পাহাড় কাটা নিয়ে বন বিভাগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইন শৃংখলা কমিটির সদস্যরা। ভ্রাম্যবান আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। পেকুয়া চৌমহুনী ও পেকুয়া বাজারে রাস্তা সংস্কার এবং যানযট নিরসনের দাবী জানান।